নরম রূপালি জ্যোৎস্নাধারা ছিল নীল বিষণ্নতা
ঝড়ো হাওয়ায় প্রদীপ সলতে নিভে যেতে চায়
অব্যক্ত যন্ত্রণা হৃদয় ঝাঁপিয়ে বর্ষা নামে।
একটু শ্বাসের আর্তি আহা ব্যাকুল শীর্ণ দেহে
অধীর প্রার্থনা প্রভু হে দয়া করো জননীকে।
শ্রান্ত পাখিটা থেমে গেলে নীরব নিথর
বুকের খাঁচা বিদীর্ণ শূন্যে ছড়িয়ে হাহাকার
দীপ্ত এক নক্ষত্র ছুটে যায় অসীম পানে।
স্মৃতিরা সব তাড়িয়ে ফিরে অহর্নিশ।
শীত রাতে ঘুমের ভান তোমার হাতে খাবো
তোমার হাত ধরে থাকা আঁচলে প্রতিশ্রুতি
তোমার গল্পগুলো রংধনু রং আকাশে
চমকে চমকে উঠি সেই মিষ্টি কন্ঠ
তুই আমার বাবার মতো সরল চৌধুরী সাহেব।
মা আমার নীরব হয়ে ঘুমিয়ে গেলো।
সুগন্ধিধূপ অলৌকিক শুভ্রতার কফিনে মোড়া
অবুঝ সবুজ মা বুঝি সাঁঝের ঝরা ফুলের সাথি।
রাতের আকাশে চুপি চুপি তুমি দেখা দিও
তোমাকে দেখার সাধ অনন্তকাল।