আমি ভীষণ মায়ায় পড়ি
যখন তখন কারো না কারো মায়ায় পড়ি
কখনো কখনো ঘুম থেকে উঠে
স্নিগ্ধ সকালের প্রকৃতির মায়ায় পড়ি
কখনো সকালে ডেকে ওঠা পাখির মায়ায় পড়ি
কখনো সূর্য ওঠার মিষ্টি রোদের মায়ায় পড়ি
কখনো গাছের ফুল, ফলের মায়ায় পড়ি
কখনো আকাশের মায়ায় পড়ি,
কখনো আকাশের তারার মায়ায় পড়ি
কখনো বনের মায়ায় পড়ি,
কখনো পাহাড়ের মায়ায় পড়ি,
কখনো পাহাড় থেকে এঁকেবেঁকে নেমে আসা
ঝর্নার মায়ায় পড়ি
কখনো সমুদ্রের ঢেউয়ের মায়ায় পড়ি
কখনো মেঘ থেকে নেমে আসা বৃষ্টির মায়ায় পড়ি
কখনো টিনের চালায় পড়া বৃষ্টির শব্দের মায়ায় পড়ি
সেই শব্দে বারান্দায় বসে চায়ের চুমুকের মায়ায় পড়ি
চায়ে চুমুক দিতে দিতে কবিতার মায়ায় পড়ি
কবিতা পড়তে গিয়ে শব্দের মায়ায় পড়ি, ছন্দের মায়ায় পড়ি
কবিতা, বৃষ্টির সাথে ছন্দ আমাকে আর বসতে দেয় না
ছুটে যাই বৃষ্টিতে ভিজে মাটির সোঁদা গন্ধ নিতে!
সেখানে মাটির সোঁদা গন্ধের মায়ায় পড়ি
মায়া আমায় ছাড়ে না!
আমি তাদের মায়ায় পড়ি, প্রেমে পড়ি!