গরুটি লম্বায় ২৮ ইঞ্চি ও উচ্চতায় সাড়ে ২৩ ইঞ্চি। আর সর্বসাকুল্যে ওজন ১৮ কেজি। খর্বাকৃতির হলেও টেঙুরা বা ভুট্টি জাতের এই গরুটি প্রাপ্তবয়স্ক। রানির কথা যাদের মনে আছে তারা অল্পতেই চিনবেন গরুর এই জাতকে। এরও রয়েছে দুই দাঁত। তার নাম মাফিন। বলা হচ্ছে রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ার রানির মৃত্যুর পর দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরুর খেতাব এখন এই মাফিনেরই। রাজশাহীর সওদাগর অ্যাগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই খর্বাকার জাতের গরুটির মালিক। এর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল খুলনার সাতক্ষীরা থেকে এই ছোট্ট জাতের গরুটি কিনে এনেছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু ছিল সাভারের আশুলিয়ার রানি। লম্বায় ২৭ ইঞ্চি রানির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি। ওজন ছিল ২৬ কেজি। সেটিও ছিল ভুট্টি জাতের গরু। অসুস্থ হয়ে ১৯ আগস্ট দুই বছর বয়সে মারা যায় রানি। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে রয়েছে আরেক খর্বাকৃতির গরু টুনটুনি। ৩৩ ইঞ্চি লম্বা এই গরুটির উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি। আর ওজন ২২ কেজি। টুনটুনির বয়স ১৪ মাস। এই হিসেবে রাজশাহীর মাফিনই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ছোট গরু।
সওদাগর অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল বলেন, আমার খামারে শাহিওয়াল, গির, মীরকাদিমের হাঁসা, মুন্ডি ও ব্রাহামা জাতের গরু রয়েছে। তবে ঢাকার বন্ধু জুয়েল রানার মাধ্যমে সাতক্ষীরা থেকে এই ভুট্টি জাতের ছোট গরুটি সংগ্রহ করি। এই ব্যতিক্রমী গরুকে ভালোবেসে নাম দিয়েছি মাফিন। নিজ বাসায় মাফিনকে পরিবারের সদস্যদের মতোই অতি যত্নে লালন-পালন করছি। প্রতিদিন মাফিনকে একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ। অনেকেই গরুটির সঙ্গে সেলফিও তুলতে আসছেন।