ভালোবাসা

সৈয়দ জিয়াউদ্দীন | বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ at ৭:১০ পূর্বাহ্ণ

বুঝিনি তখনো শৈশব কী কৈশোর কাকে বলে

হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটি হাঁটি পায়ে শৈশব গেছে চলে।

কড়া রোদে ডুবে পুকুরের জলে কাটিয়েছি কৈশোর

পার হয়ে গেছে দিনগুলি তবু কখনো কাটেনি ঘোর।

উঠোনের কোণে কাঁঠাল গাছের শিকড়ের নিচে গুঁজে

জমা রেখেছিনু মায়ের বকুনি না পায় যেন কেউ খুঁজে।

জোনাকির কাছে ছিল জমা যত বেলী শিউলির ঘ্রাণ

খুঁজে নিতে তার আলোয় যখনি বিচলিত হয় প্রাণ।

ভর দুপুরে সবুজ ঘাসে শুয়ে জামরুল ছায়ে

মনের তুলিতে এঁকেছি ছবিটি নীল আকাশের গায়ে

সাধ জাগে আজো মেঘের ভেলায় উড়ে যেতে একবার

রঙধনু রঙে সেই ছবিটিকে ছুয়ে ছুয়ে দেখবার।

প্রথম প্রেমের আকুতি রেখেছি জলাধারে নিরালায়

ভাবনায় ছিল সে মাটির ছোঁয়া দেবো তাকে যদি পাই

জোছনার ভাজে গুঁজে গুঁজে রাখা প্রেমগাথা অভিমান

অবসরে আজো কান পেতে শুনি বেসুরো সেসব গান।

শৈশব শেষে কৈশোর হয়ে যৌবনান্তে এসে

গুঁজে গুঁজে রাখা স্মৃতিগুলো আজ ফিরে দেখি ভালোবেসে

একদিন সবই হারিয়ে যাবে ঐ দূর নীলিমায়

ভালোবাসা রয়ে যাবে এই মাটিতে রেখেছি যা নিরালায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরবিঠাকুরের প্রাণজগৎ
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের কাছাকাছি রবীন্দ্রনাথ