রাজনীতি হাতেখড়ি সেই ১৯৮১ সালে। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়েছি এই লম্বা সময়ে, দুই দুইটি সরকার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। আর সেই রাজপথ আর রাজনীতি আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে, আমার মত এই রাজনৈতিক কর্মীকে অনেকেই চিনে, সমাজের অনেকই ইতিবাচক বা নেতিবাচক ভাবে গ্রহণ করে, নেতিবাচক বলার কারণ, অনেকেই রাজনৈতিক কর্মীর কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করে কিন্তু মাঠে ময়দানে রাজনীতির মুণ্ডু কর্তন করে। রাজনৈতিক জীবনে অনেক কেন্দ্রীয় নেতার সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়েছে, তখন স্মার্ট ফোন বা ডিজিটাল ব্যানার এর যুগ শুরু হয়নি হাতে লিখা ব্যানার, হাতে লিখা দেয়াল চিকা, সবেমাত্র আসা অফসেট প্রেস এর পোস্টার আর ৩৬ কপি রীল এর ক্যামেরাই ছিল ভরসা। তাই সেলফী তোলা বা কয়েক মিনিটের মধ্যে তৈরী করা ডিজিটাল ব্যানারও ছিলোনা। তবুও কিন্তু সম্মেলন গুলো নিয়মিত হতো সাংগঠনিক নিয়ম মেনে, উৎসবের আমেজ ও ছিলো নিঃসন্দেহে, আবার শঙ্কাও থাকতো পুলিশী বাধায় সম্ভব হবে তো সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে দু পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও হতো।
আজো উৎসব আছে, প্রতিযোগিতা আছে, সংঘাতও আছে কিন্তু সেই আমেজ যেন নেই, দেখা যায় বিলাসিতার আর শোডাউনের ছড়াছড়ি, বড় কঠিন হয়ে পড়েছে রাজনীতি, টাকা আর বিত্তের দুষ্টচক্রে আজ রাজনীতি।
তখনকার সময়ে নেতা আর কর্মীদের যে আন্তরিকতা আর মানসিকতা ছিলো তা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না, এখন অর্থ বিত্তই যেন নেতা হওয়ার মাপকাঠি। তবে সব ক্ষেত্রে নয় কিছু কিছু ব্যতিক্রমও হয়। এটা সরকার বা বিরোধী দল বলে কথা নেই সকলেরই এমন অবস্থা।