বাংলাদেশকে বিনিয়োগ আকর্ষণে নিজেদের উপযুক্ততা আরো তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব দ্যা ডেলিগেশন চার্লস হুইটলি। গতকাল নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চার্লস হুইটলি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া, এদেশের ব্যবসায়ী এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য আনন্দের বিষয়। যোগাযোগ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, বাইসাইকেল, ফার্মাসিউটিক্যালস ও সার্ভিস সেক্টরসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে আরো বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে বাংলাদেশে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন বিনিয়োগ ভিয়েতনামে ৬ বিলিয়ন বিনিয়োগের তুলনায় অনেক কম।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জিএসপি সুবিধা ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর জিএসপি প্লাস সুবিধার ক্ষেত্রে অবশ্যই পালনীয় শর্ত পূরণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য জরুরি। তাই ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস্) কর্মসূচিতে বাংলাদেশ যাতে অন্তর্ভূক্ত থাকে সে বিষয়ে প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা কামনা করেন চেম্বার সভাপতি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত মিস আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, নেদারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরার্ড ভ্যান লিউয়েন, লিথুনিয়া রাষ্ট্রদূত জুলিয়াস প্রানেভিসিয়াস, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও সাজির আহমেদ, চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ প্রমুখ।












