বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, এ রাষ্ট্রে সৌহার্দপূর্ণভাবে বহুকাল পূর্ব থেকে বসবাস করে আসছে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সহ নানা জাতের মানুষ। দেশে অবস্থানরত ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বৌদ্ধরা জনসংখ্যর দিক দিয়ে তৃতীয়। বৌদ্ধদের প্রায় সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পূর্ণিমা তিথি কেন্দ্রিক, তাঁর মধ্যে প্রবারণা পূর্ণিমা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র তিথি। এই তিথিটা বৌদ্ধরা ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত পালন শেষে অত্যন্ত আনন্দ নিয়ে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করে থাকে। এই তিথির দিনেই সন্ধ্যার সময় আকাশজুড়ে ফানুসের ছড়াছড়ি হয়। এই মহতী দিনে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরকারি ও প্রাইভেট অফিসে কর্মরত ব্যক্তিগণ উপস্থিত হতে পারে না পরিবারের সাথে ধর্মীয় কাজে। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার জন্য সরকার নির্ধারিত ছুটি রয়েছে বছরে মাত্র ১ দিন যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় কয়েকগুণ কম। দেশের কয়েক লক্ষাধিক জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া প্রবারণা পূর্ণিমার দিনটিকে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করে ধর্মীয় ও সামাজিক কাজ স্বাচ্ছন্দ্যে করতে সহযোগিতা করুক সরকার। সমগ্র বৌদ্ধ সমাজের হয়ে মাননীয় সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আকুল আবেদন থাকবে সকলের প্রাণের দাবী অতি পবিত্রতম দিন শুভ প্রবারণা পূর্ণিমাকে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হোক।
বিনয়মিত্র নিমফুল
চট্টগ্রাম।