ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক জাগতিক আধ্যাত্মিক সবক্ষেত্রে ছিলেন সফল

গাউসিয়া কমিটির স্মারক আলোচনায় বক্তারা

| সোমবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের ৬০তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে গতকাল রোববার স্মারক আলোচনা, মরহুমের কবর জেয়ারত এবং মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠিত হয় খতমে গাউসিয়া শরীফ এবং বেলা সাড়ে ১২টায় আলমগীর খানকাহ শরীফে স্মারক আলোচনা। মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় ও সংগঠনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলানা এম এ মান্নান, গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক খান, মাওলানা জসিম উদ্দিন আজহারী, মাওলানা মুনির উদ্দিন সোহেল, মুহাম্মদ এরশাদ খতিবী, মাওলানা ক্বারী ইব্রাহীম, লায়ন আবু নাসের রনি, মুহাম্মদ জানে আলম জানু প্রমুখ।
স্মারক আলোচনায় বক্তারা বলেন, জাগতিক আধ্যাত্মিক সবক্ষেত্রে সফল এক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্বের নাম ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক। তিনি চট্টগ্রামের প্রথম মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার এবং পালন করেছেন বহু ঐতিহাসিক দায়িত্ব। চট্টগ্রামের মানুষের মানসিক বিকাশে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কোহিনূর ইলেক্ট্রিক প্রেস, কোহিনূর লাইব্রেরি, সাপ্তাহিক কোহিনূর এবং দৈনিক আজাদী। শুধু তাই নয়, আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ নিশ্চিত করতে তিনি নিজে সিরিকোটি হুজুরের হাতে বায়াত গ্রহণ করেন এবং দেশের মানুষকেও এই কল্যাণের পথে শামিল করতে উদ্যোগী হন। তিনি পীর সিরিকোটি হুজুরকে রেঙ্গুন থেকে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। এমনকি নিজের বাসভবন কোহিনূর মঞ্জিলে রেখে এই আধ্যাত্মিক আলো বিতরণে পৃষ্ঠপোষকতা দেন। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া এবং আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আঁতুড় ঘর ছিল এই কোহিনূর মঞ্জিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাকে বাঁচাতে নিজের লিভারের একাংশ দিচ্ছেন ডাক্তার মাসুদ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবারণা পূর্ণিমার দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হোক