প্রকৃতি বাঁচলেই তো বাঁচবো আমরা

বিনয়মিত্র ভিক্ষু (নিমফুল) | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

আমরা সকলেই প্রকৃতির অধিনস্থ, প্রকৃতির উপরে এ পৃথিবীর কেউ নয়। ধনী যেমন প্রকৃতির সন্তান তেমন করে অভাবীও প্রকৃতির সন্তান। আবার পশু-পাখি, গাছপালাও প্রকৃতির সন্তান। যেমন করে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে তেমন করে জীবজগতেরও এ পৃথিবীতে থাকার অধিকারটুকু আছে। প্রতিটি মানুষের উচিত সৃষ্টিকর্তার অন্যতম সৃষ্টি গাছপালার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। কেননা পুরাকালে তথাগত বুদ্ধ ও ঋষিরা ধ্যানস্থ হয়ে নিজে মুক্তির পথকে অন্বেষণ করেছিলেন নানারকম বৃক্ষতলে বসে। তারা কিন্তু তাদের সিদ্ধি লাভ শেষে সে বৃক্ষ কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। কারণ একটি গাছে যত বেশি ডাল-পালা তত বেশি পাতা আর তত বেশি অক্সিজেন নির্গত হয়, আবার আমাদের শরীর হতে নির্গত কার্বণ গ্রহণ করেও আমাদের উপকার করে যাচ্ছে বৃক্ষ। কিন্তু আমরা উপকারীর উপকার স্বীকার না করে উল্টো সে বৃক্ষের জীবন নাশ করছি। আমরা আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নদী-নালায় বাঁধ দিয়ে জলজ সম্পদসমূহ আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি। যার জন্য সমাজে জলজ এবং স্থলজ প্রাণীগুলো বিলুপ্তির পথে। পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করায় আজ পাহাড়ি জীব সমাজও নিরাপদে জীবন ধারণ করতে পারছে না। এক কথায় বলা যায়, আমরা মানবগোষ্ঠী নিজের স্বার্থের জন্য কেনোকিছুকেই রেহাই দিচ্ছি না সুতরাং বলতেই পারি আমরা অকৃতজ্ঞ!
প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র ইত্যাদি যথাবস্থানে সুন্দর ও সঠিকভাবে না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্যও বিনষ্ট হয়, ফলে দেখা দেয় নানা রূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আর এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কারণেই জল, জঙ্গল তথা প্রাণীর বাঁচা-মরাকে বিশৃঙ্খলিত করে। তাই প্রকৃতি ও অভাবী ভাই-বোনদের যত্ন না নিলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সে কারণে আমাদের অবশ্যই উচিত নিজেদের বাঁচার তাগিদে প্রকৃতি এবং অভাবীদের যত্ন নেওয়া।
লেখক : শিক্ষার্থী, কবি ও সমাজ উন্নয়নকর্মী

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেনী কলেজে ই-লাইব্রেরি চাই
পরবর্তী নিবন্ধসমপ্রীতির মেলবন্ধন আরো সুদৃঢ় হওয়া উচিত