সমপ্রীতির মেলবন্ধন আরো সুদৃঢ় হওয়া উচিত

সুমন মজুমদার | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালে সুদীর্ঘ নয় মাস সকল সমপ্রদায়ের মানুষের রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি যা আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। স্বাধীনতাত্তোর সংবিধানের মূল স্রোতের আলোকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সবাই মিলেমিশে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছি যা নিঃসন্দেহে বিশ্বের দরবারে প্রশংসার দাবিদার। মা, মাটি ও দেশের সাথে আমরা নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লে এর নিবিড়তা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি, মুক্তিযুদ্ধ দেখার সুযোগ না হলেও এর ইতিহাস পড়ে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য সকলের উপলব্ধি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সকলে উপলব্ধি করতে পারলে সমপ্রীতির বন্ধনটা আরো সুন্দর ও সুদৃঢ় হবে এবং সকলের মধ্যে দেশাত্মবোধের উদয় হবার সম্ভাবনা আছে বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। সকলের মধ্যে দেশাত্মবোধের উদয় হলে ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হবে, ধর্মীয় অনুভুতি জাগ্রত হলে একজন আরেক জনের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, সমপ্রীতির মনোভাব প্রস্ফুটিত হবে, সকল ধর্মে শান্তি ও সমপ্রীতির কথা বলা হয়েছে, তাই একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের আরো শ্রীবৃদ্ধি পাবে। তাই সকলের সমপ্রীতির মনোভাব প্রস্ফুটিত করে দেশের কল্যাণে মেতে ওঠা উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকৃতি বাঁচলেই তো বাঁচবো আমরা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবীণদের সেবাই হোক আমাদের অঙ্গীকার