‘সাধনা নিবাস’ নামে ছোট্ট একটি দুতলা ঘরে পাঁচ ভাইয়ের বসবাস। পরিবারে ছিল না সুখের কোনো কমতি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবাই কর্মমুখী। কেউ প্রবাসে, কেউ দেশে। তারমধ্যে পরিমল চন্দ্র পাল (৪৩) গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতেন। কিন্তু ছোট থেকে তার স্বপ্ন ইউরোপে পাড়ি জমাবেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয় গত বছরের ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগালে পৌঁছানোর মাধ্যমে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) দেশে খবর আসে পরিমল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আগের দিন রোববার পর্তুগাল সময় রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ভেজা সিটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পরিবার সূত্র জানায়। নিহত পরিমল সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের যোগেশ চন্দ্র পালের পুত্র। তিনি পর্তুগালের সিটির ফেরাইয়া এলেন তেজু এলাকায় বসবাস করতেন এবং ওই এলাকায় একটি অলিভ অয়েল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার এক স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের মামা সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, ভাগিনার অনেক স্বপ্ন ছিল ইউরোপে যাবে। তাই অনেক কষ্টে গত বছরের ১৪ নভেম্বর স্বপ্নের ইউরোপের দেশ পর্তুগালে পাড়ি জমায়। কিন্তু রোববার সন্ধ্যার পর আরেক বন্ধুর সঙ্গে মিলে কফি খেতে যায়। আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ভাগিনা ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। তার সঙ্গে থাকা বন্ধুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাগিনার মৃতদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, দেশ থেকে যাওয়ার মাত্র ৩ মাস ১১ দিনের মাথায় ভাগিনা মারা গেল।
সীতাকুণ্ড মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, বিষয়টি আমি তার পরিবার সূত্রে জেনেছি। আচার–আচরণে ছেলেটি খুব ভালো ছিল। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনও পরিমলের নিহত হওয়ার খবর পরিবারের মাধ্যমে জেনেছেন বলে জানান।