বাংলাদেশে সাধারণত একটি শিশু জন্মের পর তার লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে অভিভাবকরা মেয়ে বা ছেলে হিসেবে স্কুলে ভর্তি করান। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা সামাজিক ট্যাবুর শিকার হন। অনেক সময় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, প্রথমবারের মতো এখন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সময় প্রত্যেকে তার নিজের পরিচয় ব্যবহার করে ভর্তি হতে পারবে। খবর বিবিসি বাংলার।
এনসিটিবির অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে এ ব্যাপারে। এছাড়া নতুন শিক্ষাসূচী তৃতীয় লিঙ্গদের নিয়ে বিশদ আকারে বর্ণনা থাকবে। তিনি বলেন, যে যে পরিচয় দিতে চায় সে পরিচয়ে ভর্তি হবে পারবেন। এছাড়া সব রকম ফরম, সেটা ভর্তি ফরম হোক আর যেকোনো ফরম হোক, সেখানে নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ এই কথাটা থাকতে হবে। চলতি মাসের ১৩ তারিখের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।
তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যদি একজন ছেলে হিসেবে শিক্ষা শুরু করে এক পর্যায়ে নিজের পরিচয় নারীতে পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সেটার যেন সুব্যবস্থা থাকে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলছে, ২০২২ সাল থেকে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে তারা পরীক্ষামূলকভাবে পাঠ্যসূচি চালু করার ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে। পরবর্তীকালে এর খুঁটিনাটি বিষয় যোগ হতে পারে। সরকার ২০১৩ সালে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয়। তারা ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে তৃতীয় লিঙ্গে পরিচয় দিতে পারেন, একই সঙ্গে ভোট দেওযার অধিকার পান। এখন নতুন এই শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে পারবে।












