কংকাল নিয়ে প্রদর্শনী কেন্দ্র করতে চায় জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর

হিমছড়ি সৈকত থেকে উদ্ধারকৃত তিমি

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

গত ৯ ও ১০ এপ্রিল হিমছড়ি সৈকত থেকে উদ্ধার সেই মৃত তিমি দুটির কংকাল নিয়ে কক্সবাজারে প্রদর্শনী কেন্দ্র করতে চায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। এ জন্য কক্সবাজার সাগরপাড়ে ভাড়ায় সরকারী পরিত্যক্ত ভবন চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে চিঠি দিয়েছেন বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মুনীর চৌধুরী।
গত ১৮ আগস্ট কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বরাবরে প্রেরিত উক্ত পত্রে বলা হয়, হিমছড়ি সৈকত থেকে উদ্ধার সেই মৃত তিমি দুটির কংকালকে রূপ দিয়ে একটি অস্থায়ী প্রদর্শনীর মাধ্যমে পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে সামুদ্রিক সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণসহ ব্লু-ইকনোমির তথ্যাদি বৈজ্ঞানিকভাবে উপস্থাপন করতে চায় জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানটি।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মুনীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্কতা সৃজনে প্রতিষ্ঠানটি বহুমাত্রিক ভূমিকা পালন করে আসছে। যেখানে বিজ্ঞানের সকল শাখার বিষয়বস্তু নিয়ে ৭টি গ্যালারি রয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী ভ্রাম্যমান প্রদর্শনীর জন্য তাদের ৫টি মিওজু বাস, ৪টি মুভি বাস, ২টি মোবাইল অবজারভেটরি বাস রয়েছে, তবে রাজধানীর বাইরে তাদের কোন কেন্দ্র নেই। কিন্তু কঙবাজার দেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র ও সমুদ্র শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে এখানে বিজ্ঞান যাদুঘরের একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র থাকা উচিৎ।
তবে কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ গতকাল শনিবার সকালে দৈনিক আজাদীকে জানান, এক মাস আগে প্রেরিত পত্রটি শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তার নজরে আসেনি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
গত এপ্রিল মাসের ৯ তারিখ হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে সামুদ্রিক জোয়ারের সাথে ৪৪ ফুট দীর্ঘ একটি তিমির মৃতদেহ ভেসে আসে। পরদিন এর এক কিলোমিটার দক্ষিণে প্রায় একই আকারের আরো একটি তিমির মৃতদেহ ভেসে আসে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এর বিজ্ঞানীরা মৃত তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর তিমি দুটোর মৃতদেহ সৈকতেই পুঁতে ফেলে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কঙবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। ইতোমধ্যে মৃত তিমি দুটির কংকাল সংরক্ষণের জন্য সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে ঘটনার পর প্রায় সাড়ে ৫ মাস অতিবাহিত হলেও সেই কংকাল এখনও মাটি থেকে উত্তোলন করা হয়নি। কবে নাগাদ সেই কংকাল মাটি থেকে উত্তোলন করা হবে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানকে তা প্রদান করা হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি বলে জানান বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মৃত তিমি দুটোর কংকাল কেবল বনবিভাগই সংরক্ষণ করতে পারে। তবে বনবিভাগ কোথায় তা সংরক্ষণ করবে সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমে যা থাকছে
পরবর্তী নিবন্ধসিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান