এভাবে কোকিল ডাকে মনে বনে
বসন্ত দিনে,
নিঃসঙ্গচারীর এই এক রোগ–অস্থির আকুল
শীতে জীর্ণশীর্ণ ঝরে গেলে সব শেষপাতা
বসন্তদূত
সামান্য বাঁকানো ঠোঁটে কণ্ঠে তোলে গান
কুউ কুউ– কুউ কুউ কুউও মাত্রায়
উচ্চস্বর মিষ্টি সুরেলা।
শোনার অপেক্ষায় আড়াল–গাছের কাছে থাকা
রূপ দেখালে রূপ চলে যায় কি
উজ্জ্বল কালো আবৃত গাঢ় লাল চোখ
কামগীতির রক্তিম ফুল
হিন্দোল বাতাসে প্রকৃতির রঙের চাকায়
লাল–সবুজ হলুদ–বেগুনি নীল–কমলা উচ্ছ্বাস
হাতের পাশে প্রজাপতি পুষ্পদল
পল্লবিত শাখায় মাঠের ধানে হরিৎ ফোয়ারা।
জোছনার জোনাকি ঝাঁকে ঝাঁকে পূর্ণিমার ঘাটে
যেন চন্দ্রখোঁজ বিজ্ঞান লণ্ঠনযান
পঙ্খিমোড়া টিলায় দোল–জুমে কারা
পোড়ে ন্যারা–হোলিকা বহুগামী প্রেম
রাতে পিক–ডানার স্পন্দন স্প্যারোহকের মত
সুন্দরের আরাধনা আবীর বসন্তোৎসবে
অনন্তবর্ষে
কেবল এক জীবন একবার ভালোবাসা কুহু
কোকিলাক্ষ তুমিও কোকিল ফাগুন ডালে।