নগরীর ডবলমুরিংয়ের ফ্ল্যাট বাসায় ইয়াবা বানিয়ে দেশজুড়ে বিক্রির একটি মামলায় তিন মাদক কারবারিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন, রাউজানের শ্যামল মজুমদার, কুমিল্লার মো. মামুন হোসেন ওরফে মামুন ও লোহাগাড়ার মোছা. আয়শা ছিদ্দিকা। একই আদেশে লোহাগাড়ার আব্দুল্লাহ আল আমান ওরফে আমান নামের অপর এক আসামিকে ছয় বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়ছে। গতকাল চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের পেশকার মো. ফরিদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহাতীতভাবে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে ২০ বছর ও অপর একজনকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১২ জনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় শ্যামল মজুমদার, মো. মামুন হোসেন ওরফে মামুন ও মোছা. আয়শা ছিদ্দিকাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের তিনজনকেই আইনের ২০ ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলার অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল আমান ওরফে আমানকে আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী ছয় বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে ডবলমুরিং থানাধীন বেপারী পাড়া এলাকার কমিশনার গলির আবুল হোসেন সওদাগরের ৫ম তলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে অভিযান চালিয়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি উক্ত ফ্ল্যাট থেকে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির ৪০ কেজি কাঁচামাল, ৬৫ কেজি পাউডার, ইয়াবা তৈরির দুটি মেশিন, ডিজিটাল স্কেল একটি ও চার লিটার গোলাপী রং উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. কামরুজ্জামান মাদকদ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজহারে বলা হয়, স্থানীয় বাজার থেকে ইয়াবা তৈরির বিভিন্ন কাঁচামাল সংগ্রহ করে মেশিনের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করে চট্টগ্রাম নগরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রয় করে আসছিল আসামিরা। আদালতসূত্র আরো জানায়, এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে বিচারক চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদশে দেয়।