চলতি হজ মৌসুমে চট্টগ্রাম থেকে শর্ট প্যাকেজে হজে যাওয়া যাত্রীদের সাথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমাতাসুলভ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিমানের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় সুজন বলেন, চলতি হজ মৌসুমে চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী হজ আদায়ের জন্য সৌদিআরব গমন করবেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসী ছাড়াও বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিরত হজযাত্রীগণ রয়েছেন। যারা ছুটিগত সমস্যার কারণে ফুল প্যাকেজের হজের পরিবর্তে শর্ট প্যাকেজে দেশে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন। এসব শর্ট প্যাকেজের মধ্যে যারা ২০ দিনের মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দেশে চলে আসতে চান তাদের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ ডলার, যারা ২৫ দিনের মধ্যে দেশে আসতে চান তাদের জন্য অতিরিক্ত ৩০০ ডলার এবং যারা ৩০ দিনের মধ্যে দেশে আসতে চান তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০০ ডলার চার্জ ধার্য করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এবং উপরোক্ত শর্তাদি মেনে যারা শর্ট প্যাকেজের যাত্রী তারা বিমানের টিকেটও কনফার্ম করেছেন। যদিও বিমান অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত বিমান ভাড়া আদায় করছে প্রতিজন হজযাত্রীদের কাছ থেকে। তারপরও দেশের হজযাত্রীগণ বিদেশি এয়ারলাইন্সের তুলনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে সবসময় পছন্দের তালিকায় রাখে। যার মূল কারণ হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স স্বদেশী এয়ারলাইন্স এবং বিমানের মাধ্যমে হজে গেলে স্বদেশী এয়ারলাইন্সটি লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করা। আর এসব চিন্তা ভাবনা করে মূলত দেশীয় এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজে যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীগণ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম থেকে যেসব হজযাত্রী শর্টপ্যাকেজের টিকেট কেটেছেন তাদেরকে কোনভাবেই শর্ট প্যাকেজ দিতে পারবেন না। হজযাত্রীদের ৪৩ দিনের প্যাকেজেই থাকতে হবে যা চট্টগ্রামের যাত্রীদের প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমাতাসুলভ আচরণ বলে আমরা মনে করি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।