নিস্তরঙ্গ পথ শুয়ে থাকে
ঘরটির কোল ঘেঁষে। পথবাতিটা, দীর্ঘ থেকে
দীর্ঘতর, ছাতিম গাছের মাথা ছুঁয়ে।
বহু কিলোওয়াট অন্ধকার বারান্দায় মুখ থুবড়ে পড়ে,
ঘর অপেক্ষায়, একলা শরীর, একা।
টেবিলঘড়িটা থমকে আছে, বছর মাস একাকার।
টিকটিকিটা দেয়াল আকড়ে বলে টিক্টিক্,
আছি আছি, যাইনি কোথাও। হতেই পারতো, ওর
ডাকনাম, দেয়ালঘড়ি। টিক্টিক্…টিক্টিক্…
ঘর ছন্দ গোনে, অপেক্ষা মাপে।
আকুতি ঝরে, থেকো, তোমায় তো রেখে গেছে
অক্ষয়কালের প্রহরায়। ঘর, অপেক্ষায়…
নির্ঘুম চাদরের গায়ে অসমাপ্ত আদর; ঘর অপেক্ষায়।
আহা! পর্দাটা একবার যদি দুলে উঠতো!
জ্যোৎস্নায় সাজবে বলে আকুল উঁকি-ঝুঁকি;
পর্দাটা দোলে না।
দরজার চোখের তলায় কালিমা, জানালার কাঁচে
ক্লান্তির ছায়া, বইয়ের ভাঁজে ঝিমুনি; ঘর অপেক্ষায়…
চার দেয়াল পোষে এক
প্রেমাতুর কারাগার। মুক্তি পায় না,
শুধু তাকে আবার দেখবে বলে!
ঘর অপেক্ষায়…
সাতটি অনন্ত পেরিয়ে তবেই না তার আসা!
ঘর, অপেক্ষায়… পরিত্যক্ত শরীর, একা।