দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালাদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে তার ভাইয়ের করা আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল সোমবার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে আইন মন্ত্রণালয় কী মতামত দিয়েছেন, সে বিষয়ে বলতে রাজি হননি তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘আজ (গতকাল) আইনি মতামত দেওয়া হয়েছে। এই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। যেহেতু এই আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তাই কী মতামত দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’ খবর বিডিনিউজের।
আনিসুল হক স্পষ্ট করে না বললেও এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় যে আগের অবস্থানেই রয়েছে, সেই ইংগিত পাওয়া যায় তার কথায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪০১ ধারায় যে ৬টি উপধারা আছে, সেখানে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন আবার বিবেচনা করার সুযোগ নাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার ‘সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই’ দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই। সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করা হয়।