তরীকত চাইল আইন, খেলাফত চাইল নির্দলীয় সরকার

| মঙ্গলবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

রাষ্ট্রপতির সংলাপে গিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে তরীকত ফেডারেশন। অন্যদিকে খেলাফত মজলিশ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের প্রস্তাব রেখেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন ইসি গঠনে গতকাল সোমবার বঙ্গভবনে এই দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরপর আলোচনায় বসেন। সংলাপ শেষে তরীকতের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সাংবাকিদের বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে একটি সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। তাই বর্তমানে সময়স্বল্পতা হেতু ভবিষ্যতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সময়পোযোগী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ প্রত্যাশা করি। তার আগ পর্যন্ত সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগে আপত্তি নেই তরীকতের। খবর বিডিনিউজের।
হাইকোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে সাবেক একজন সচিবকে সদস্য সচিব, একজন শিক্ষক, একজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং একজন সাংবাদিক নিয়ে মোট ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখে দলটি। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তাদের পরিবারবর্গের কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ না দেওয়ার সুপারিশ করে এসেছে তরীকত। নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী দলের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে সংলাপে যোগ দেন। এদিকে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রায় অসম্ভব। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার গঠন করতে হবে। বিদায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি এমন প্রস্তাব শুনে উত্তর কী দিয়েছেন- জানতে চাইলে কাদের বলেন, উনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেন নাই। সংলাপের বিষয় কি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ছিল, না কি নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ছিল- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সবই ছিল। আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছি। মহাসচিব কাদেরের নেতৃত্বে খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, আহমেদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল সংলাপে যান। সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই এ আলোচনার মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখালেদার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রে
পরবর্তী নিবন্ধথাইল্যান্ডের জাতীয় দিবস