তোকে চোখের তারায় আঁকবো বলে
তোর চোখেতেই আকাশ দেখি।
হাতের মুঠোয় রামধনুটা
আলতো করে ধরে—
প্রজাপতির রেশমি ডানার সবটুকু রঙ নিয়ে,
কাশবনের ওই শুভ্র তুলি
আমি শিমুল ফুলের লাল আবীরে মাখি।
সূর্য–মেঘের শুভদৃষ্টি—
দিব্যি চলে। দিব্যি চলে দীঘির জলে।
ভাদ্র মাসের শান্ত দীঘির
টলটলে ওই কালচে জলে। দিব্যি চলে।
আকাশ শুধু মুখ লুকিয়ে হাসে।
মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়ে জলের নাও,
শরতের ওই কনে দেখা আলোয়…
আমি শুধু তোর মুখটাই দেখি।
মায়াবতী মেয়ে,
তোর মুখটা জুড়ে বিষাদ কেনো,
ঠোঁটের কোণে কেনো অমন কষ্ট পুষে থাকিস?
কেনো অমন কাজল কালো চোখ দুটোতে
পাষাণভেদী জল ভরিয়ে রাখিস?
আমি তোর জন্য আস্ত একটা সমুদ্র
হাজার রঙে ভরিয়ে দেবো।
হাজার রঙে, হাজার ঢংগে
দিগন্তের ওই সীমানাহীন ক্যানভাসে
আমি শুধু তোর মুখটাই আঁকি।