নিরুপায়ে বসতি এই বেড়িবাঁধে
জীবনের কাঁধে নিত্যদিনের ঊর্ধ্বগতি
ওঠে গোলাকারে ঝড় ঋতুচক্র ভয়ে
কাঁপে থরথর শ্যামল অরণ্যতট
মাটির গহীনে চোরাবালি পেতেছে
মৃত্যুর ফাঁদ, সুনামী খেলায় মাতে সমুদ্র সৈকত
এই চরাচর তপ্ত কড়াই আজ
মেঘ আকাশের বাজ যেনো মাটিতে।
হাত বাড়ালেই সুখ মেলে না আগের মতন
পত্রপল্লব বটবৃক্ষ –
জীবনের আচ্ছাদনে ন্যূব্জ দেহে তাকাই বনসাই।
আছে জল নূহের প্লাবন তবুও তৃষ্ণার্ত আমি
আছে আগুন তবু ওমহীন দেহ দিবসযামী
আছে বাতাস শুধু বারুদ গন্ধযুক্ত
নেই বকুল কদম কাশফুল নদীকূল
কখন যে হারিয়ে গেছে স্মৃতির নাকফুল!
হেমন্তের চিটাধান উঠোনে গড়ায়
নবান্ন–উৎসব আজ দিশা হারায়
রাতের শিশির ঝরায় কান্না নিরন্তর।
বসতি বেড়িবাঁধে; কড়া পাহারায় রাখি
বুক পকেটে মৃত্যু সমন।







