চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত কোকেন কাণ্ডের মামলার মাদক আইনের ধারার পর এবার চোরাচালান আইনের ধারায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাঁচজন আসামির উপস্থিতি ও পাঁচজন আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত চার্জগঠনের আদেশ দিয়েছেন।
এ সময় কারাগারে থাকা তিনজন (আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক মোস্তফা কামাল, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান) ও জামিনে থাকা দুইজন (কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপাক একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম) আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকী পাঁচজন ( খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ, নূর মোহাম্মদের ভাই ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া) আসামি ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন। এদিকে কোকেন কাণ্ড মামলায় মাদক আইনের ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম।
এর আগে আসামি পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করা হলে আমাদের বিরোধিতায় আদালত তা নাকচ করে দেন। আগামী ২ মার্চ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মাদক আইনের ধারায় এ ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।