সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়া আইনসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উঠছে আজ। সংসদের সায় পেলে প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সংসদের চলতি অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হতে যাচ্ছে আজ। খবর বিডিনিউজের।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আজ বিলটি পাসের প্রস্তাব সংসদে তুলবেন। জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পাস হবে কি না জানি না, আমি বৃহস্পতিবার প্রস্তাব তুলব।
বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল–২০২২’ গত রোববার সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সিইসি ও কমিশনার নিয়োগে যোগ্যতা–অযোগ্যতার অংশে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে বিলের প্রতিবেদন গতকাল সংসদে উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। আইনমন্ত্রী বিলটি পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব করার পর এর উপর সংসদ সদস্যরা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাব তুলবেন। তখন বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সংসদ চাইলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ কিংবা সংসদে যেরকম স্থির করা হবে, সেভাবে খসড়া আইনটি পাস হবে। সাধারণত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংসদে গ্রহণ করা হয়। বিলটি সংসদে পাসের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইন কার্যকর হবে। তখন এই আইনের অধীনে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করবেন।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ফুরিয়ে যাবে বলে তার আগে নতুন ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির দুই সপ্তাহের মতো সময় পাবেন।
সংসদ সচিবালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা–কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই অধিবেশন শেষ হতে যাচ্ছে আজ। শেষ দিনে সকাল–বিকেল দুই বেলা বৈঠক চলবে।