রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইতোমধ্যেই ইউক্রেন থেকে প্রায় ১২ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছে বলে সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার জানিয়েছেন, এরমধ্যে অর্ধেক মানুষ শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। সর্বশেষ ৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ইউক্রেইন সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছে, দেড় লাখ হাঙ্গেরিতে আর বাকিরা ইউরোপের অন্যান্য দেশ গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির পর ইউক্রেনের অপর প্রতিবেশী মলদোভা, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া মানুষদের মধ্যে অর্ধেক শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া মানুষদের মধ্যে অর্ধেক শরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। ইউএনএইচসিআর বলেছে, ইউক্রেনের ভেতরে আরও অনেক মানুষ এলাকা ছাড়ছে এবং তাদের অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। তাদের সুরক্ষা ও সমর্থন দরকার। পরিস্থিতি যেরকম দেখা যাচ্ছে, সে হিসাবে ৪০ লাখের মতো মানুষ দেশটি ছাড়তে পারে। রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখের মতো ছিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সেনারা আক্রমণ শুরুর পর শনিবার লড়াই গড়িয়েছে দশম দিনে। ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা থেকে রুশ বাহিনীর অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসি লিখেছে, ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ লাখ মানুষ দেশান্তরী হয়েছিল। আর এখন মাত্র এক সপ্তাহে প্রায় কাছাকাছি সংখ্যক মানুষ শুধু ইউক্রেন থেকে শরণার্থী হয়েছে। জাতিসংঘের ধারণা, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ভেতরে এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে এবং তাদের জরুরি ত্রাণ সহায়তা দরকার।