কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত আট দশকের পুরনো কারখানা কর্ণফুলী পেপার মিলের ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে কর্ণফুলী পেপার মিলকে অবশ্যই সচল রাখতে হবে। নতুন কারখানা স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত কেপিএমের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান গতকাল শনিবার কেপিএম পরিদর্শনে এসে কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পুরনো কারখানা হওয়া সত্ত্বেও কেপিএম এখনো উন্নত মানের কাগজ উৎপাদন করছে। উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান সমগ্র কেপিএম কারখানা ঘুরে দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এক আনিসুজ্জামান, বিসিআইসি’র উপ–মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) গাজী সাহিনুল ইসলাম, কারখানার উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মো. মাইদুল ইসলাম, প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাণিজ্যিক বিভাগীয় প্রধান মো. আবু সাঈদ, এফআরএম বিভাগীয় প্রধান আলী আহমদ, ব্যবস্থাপক (কারিগরি) মো. আবুল কাশেম রনি, টেকনিকেল বিভাগীয় প্রধান রুপম বড়ুয়া, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, সিবিএ সভাপতি আবদুল রাজ্জাক এবং সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।
মতবিনিময় সভায় বিসিআইসির চেয়ারম্যান বলেন, জরাজীর্ণ ভবন, কলকব্জাগুলো পুরাতন এবং সীমিত লোকবল হওয়া সত্ত্বেও এখনো কেপিএম সফলতার সাথে উন্নতমানের কাগজ উৎপাদন করায় তিনি কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, কেপিএমকে আধুনিকায়ক করার প্রচেষ্টা চলছে। চন্দ্রঘোনায় আরো নতুন কারখানা তৈরি করা হবে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী মার্চ মাসে শিল্পমন্ত্রী কেপিএম পরিদর্শনে আসবেন বলেও বিসিআইসির চেয়ারম্যান জানান।