এলোমেলো পদভারে ল্যাম্প পোস্টের আলোয়
বোহেমিয়ান অস্তিত্বের হেঁটে চলা বেখেয়ালে
পরিচিত আলোকিত বলয়ের বাইরে !
কখনো কখনো খোলা পথে উদোম আকাশের নীচে
অস্তিত্বকে সঙ্গী করে মন উড়িয়ে,
প্রাণ জুড়িয়ে ,ভালোবাসায় হাঁটার জুড়ি নেই !
সরল স্বীকারোক্তিতে স্বচ্ছতা হেসে ওঠে মুখরিত সময়ে,
তিরতির কাঁপনে কপোলের চুমু মেশে
আবদ্ধ দু’চোখের পাপড়িতে নিবিড়তায়,
ছায়া ফেলে হৃদয়ের স্পন্দনে মেশানো অভিমানী অনুভবে,
ছেঁড়া অথচ মিষ্টি টুকরো স্মৃতির রোদ পোহানো ভোরে
ঠোঁটের কোণ ভরে ওঠে নিশ্চুপ নীরব মিচমিচি হাসিতে।
ডুবতে থাকা তরী মুখ লুকোয় আশ্বাসের নিবিড় কিনারায়,
অরণ্যের ছোঁয়ায় হারাতে হারাতে ছায়া খোঁজে সে অনন্যা
নিজস্ব বলয়ে ফেরা জোছনায় ভাসা শুভ্র মেঘফুলের মত,
মনের ল্যাম্প পোস্টে সন্ধ্যা প্রদীপ সাইরেন বাজিয়ে যায়.
রিমঝিম সময়ের বেলা অবেলায় মুখর বেলায় যেন
সময়ের টানাপোড়নে কোনো প্রেক্ষাপটের প্রয়োজন নেই,
তবু ও বাঁধ ভাঙা স্রোতের মতন প্রণয় আসে প্রলয়ের মত
অপেক্ষা উপেক্ষা করে, অহংকার নয় অলংকার হয়ে!
মাঝে মাঝেই তাই মুখোমুখি হতে হয় আত্ম বিশ্লেষণের,
অপরিচিত বলয়ে অন্য আলোয় আঁধারের সংজ্ঞা মিলিয়ে
ভালোবাসার সংজ্ঞা নিরূপণে ঐশ্বরিক মায়াবী আলোতে!
চোখের আয়নায় চোখ রেখে অপলক কেমিস্ট্রিতে
নিঃশ্বাসের ফিসফাসে অনিন্দ্য দৃষ্টিই কথা কয়ে ওঠে
দ্বিধা সংশয়ে অথচ দৃঢ় প্রত্যয়ে
সেই অবিনাশী দুটো শব্দ- বড্ড ভালোবাসি
তোরে মায়ার প্রচ্ছায়ায় নিদারুণ অহংকারে,
সময় জানুক কেবল প্রয়োজন নাকি প্রিয়জন কি না!
যদি ও ছিলাম, আছি অথচ কোথাও নেই কেন
এ প্রশ্নটির উত্তর নেই মহাকালের স্রোতে কোথাও ,
শূলের মত প্রশ্নটি আটকে আছে আঁধারি রাতে ছাওয়া
মহাকাশের বুকে কালপুরুষের কাছে সপ্তর্ষি তারায়!
ঐ প্রশ্নবোধক চিহ্ন অনন্যার অনন্য অশ্রুত হাসিতে
গোপনই রবে চিরদিন, চিরকাল বুকের অতলে কেবল,
যা তোমার জানা হবে না কখনোই,
কেননা তোমাকে রেখে দিয়েছি আমার করেই
বিসর্জিত অনন্ত প্রেমে।