কক্সবাজারের টেকনাফে স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় আটক দুই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে তাদের কক্সবাজার জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ।
তারা হলো নুরুল আলম(২৫), আকতার কামাল(৪০)।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা হতে ধরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।
আটক দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে বাদী হয়ে ১নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়ার (শামলাপুর) নুরুল ইসলামের পুত্র নুরুল আলম(২৫) ও শামলাপুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক, উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বসিন্দা আলী আহমদের ছেলে আকতার কামাল(৪০)কে থানায় সোপর্দ করে এজাহার দায়ের করেন।
সূত্রে জানা যায়, জেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন টেকনাফের বাহারছড়ার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাকে জন্মনিবন্ধন করে দেয়ার সন্দেহে আকতার কামাল নামের এক পল্লী চিকিৎসককে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার(৩রা মার্চ) রাত ৯টার দিকে বাহারছড়া শামলাপুর বাজারে।
স্থানীয় বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শামলাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এক দুগ্ধপোষ্য শিশুকে মানবতার টানে দত্তক নিয়ে লালন-পালন করে আসছিলেন। তার নাম রাখেন নুরুল আলম। সেই সুবাদে নুরুল ইসলামের পালক পুত্র নুরুল আলমের নামে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয় এবং প্রস্তুতকারী ইউপি সচিব মোহাম্মদ নুরুল আলম জন্মনিবন্ধন করে প্রিন্ট করে দেন।
পরবর্তীতে মূল জন্মসনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য গেলে বিষয়টি জনাজানি হয়ে যায়।
পরিষদের সরবরাহকৃত নিবন্ধন সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বসিয়ে দিলে সেখানে পল্লী চিকিৎসক আকতার কামালের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ইউপি সচিবসহ অফিসের লোকজনের সহায়তায় জন্মসনদ তৈরির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন এবং সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুরুল আলম ও আকতার কামালকে আটক দেখিয়ে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়।
