পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় এসএসসিতে অংশ নিতে পারেনি পরীক্ষার্থী

জমি বিরোধের জের

পেকুয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০২৩ at ৯:৩১ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমি বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়্যাদিয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলা ও মারধরে মইয়্যাদিয়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের কন্যা ও পেকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী রুমি আক্তার (১৬), তার মা ছিনু আরা বেগম (৩৫), তার চাচা একই এলাকার মৃত মোক্তার আহমদের পুত্র আব্দু রহিম (২৬) ও একই এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০) গুরুতর আহত হন।

আহতদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানা পুলিশ উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি পরিক্ষার্থী রুমি আক্তার।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, “পরীক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে।”

আহত পরিক্ষার্থীর পিতা মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “একই এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাই আব্দু রহিমের ক্রয়কৃত ১৪ শতক জায়গায় দখল চেষ্টা করে আসছেন৷ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বিচার হয়েছে এবং আদালতে চাঁদাবাজি মামলাও চলমান কিন্তু রফিক প্রতিনিয়ত দখল চেষ্টা চালায় এবং আজ ভোরে রফিক ও তার স্ত্রী-পুত্ররা মিলে জমিটিতে ঘর বেঁধে দখল চেষ্টা চালালে খবর পেয়ে আমার স্ত্রী-সন্তান ও ভাই মিলে দেখতে যায়। এসময় তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “এসময় তাদের ওপর দা, কিরিচ, ছুরি ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।”

হামলায় আহত আব্দু রহিম বলেন, “আমার ফুফি মমতাজ বেগমের কাছ থেকে আমি ওই জায়গা ক্রয় করেছি। একই এলাকার মোহাম্মদ রফিকও ওই জায়গা কিনতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি কিনে নিয়েছি তাতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালান। আজ সকালে পুনরায় দখল চেষ্টা চালালে খবর পেয়ে আমরাও যখন সেখানে যাই ঠিক তখনই তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।”

তিনি আরো বলেন, “এসময় মোহাম্মদ রফিক তার স্ত্রী মোতাহেরা বেগম ও তাদের দুই পুত্র আনিছ ও ইউনুস মিলে আমাদের ওপর হামলা চালান। হামলা থেকে আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাতিজীকেও রেহাই দেয়নি তারা।”

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “জমি নিয়ে দু’পক্ষের মারামারির খবর শুনেছি। ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে রেল আসবে আগামী সেপ্টেম্বরে
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডের অটো স্টিলের পাঁচ ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা