চট্টগ্রামের পটিয়ার হাইদগাঁও গিনি হাউজ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আন্ত:জেলা প্রতারক চক্রের এক হোতাকে আটক করেছে পুলিশ।
তার কাছ থেকে পটিয়া থেকে ১২ ভরি ও শরিয়তপুর থেকে ৪ ভরি ১৪ আনাসহ ১৬ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার পুলিশ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানা এলাকা থেকে এই প্রতারককে আটক করে। আটক প্রতারকের নাম মো. রাসেল (৩৮)। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড়কান্দি ইউপির টিএন্ডটি মোড় এলাকার মৃত আবদুল খালেকের পুত্র।
তাকে আটকের পর আজ বুধবার (২৬ জুলাই) পটিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ ড.আশিক মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রতারণার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণসহ রাসেল নামের এই প্রতারককে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করে পটিয়া থানা পুলিশ।
আটক প্রতারক নিজকে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গত ১৪ জুলাই পটিয়া স্টেশন রোডের হাইদগাঁও গিনি হাউজ থেকে ক্রেতা সেজে ১২ ভরি স্বর্ণ কেনে। পরে টাকা আনার নামে স্বর্ণ নিয়ে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ক্লু-লেস এই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির আশ্রয় নেয়। বার বার সে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকায় তাকে ধরতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। পরে পুলিশ গরু ক্রেতা সেজে ঐ এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাকে আটক করে।
আটকের সময় পটিয়া থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত ১২ ভরি স্বর্ণ ছাড়াও ৩ মাস আগে শরীয়তপুর থেকে চুরি করা ৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণসহ মোট ১৬ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতারক চক্রটি এই সব স্বর্ণ নারায়ণগঞ্জের কালির বাজারের পি,কে জুয়েলার্সে বিক্রি করে বলে জানিয়েছে।
পটিয়া থেকে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকারগুলো সে সম্পূর্ণ গলিয়ে বিস্কুটে পরিণত করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডক্টর আশিক মাহমুদ ব্যবসায়ীদের সতর্কতার সাথে লেনদেনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, “পটিয়ায় অপরাধ করে কোথাও পালিয়ে থাকা যাবে না।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উৎপল সরকার সহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
