মীরসরাই থানার মো. সাইফুদ্দিন প্রকাশ ইমরান হত্যার মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসনাতের আদালত এ রায় দেয়।
আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সাইফুল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমীর হামজা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো কবীর আহমদ, দিদারুল আলম প্রকাশ মিলন, আবু আবদুল্লাহ প্রকাশ কিরণ, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমীন, হুমায়ন কবীর, আরিফ হোসেন, আনোয়ারুল আজিম ও জয়নাল আবেদীন।
এছাড়া মামলায় বিচারচলাকালীন একজনের মৃত্যু হওয়াতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দণ্ডিতদের মধ্যে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কবির আহাম্মদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ন কবির রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মীরসরাই থানার সাহেরখালি ভোরের বাজার এলাকায় মো. সাইফুদ্দিন প্রকাশ ইমরানের উপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৯৯৩ সালের ১৮ জুন আসামীরা হামলা চালায়।
সাইফুদ্দিনের সঙ্গী নাজিম উদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে রক্ষা করতে আসলে তাদের উপরও আসামিরা কিরিচ, লোহার রডসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে।
পরে হাসপাতালে সাইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিনের বাবা ইসমাইল সিদ্দিকী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, “আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই অভিযোগে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ৩০ বছর বলে সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক। আমৃত্যু কারাদণ্ডের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গ্রেফতার হলে মৃত্যু পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কেউ গ্রেফতার হলে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে ইতিমধ্যে জেলে থাকার সময় কাল বাদ যাবে বলে রায়ে বিচারক উল্লেখ করে আদেশ দিয়েছেন। দণ্ডিতদের মধ্যে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কবির আহাম্মদ এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ন কবির রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। আসামী হেঞ্জু মিয়ার মৃত্যু হওয়াতে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”