বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই লেকে ৩ ফুটেরও বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে এই মুহূর্তে(১৭ জুলাই) ৮৮ ফুট মীনসীলেভেল(এমএসএল) পানি থাকার কথা কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ৯১.৪০ ফুট এমএসএল।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের আজ রবিবার(১৭ জুলাই) রাত ৮টার সময় মোবাইল ফোনে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে ৩টি ইউনিট সচল রয়েছে। সচল ইউনিটগুলো হলো ২, ৩ ও ৫ নম্বর ইউনিট। এই তিনটি ইউনিট থেকে বর্তমানে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বর্তমানে ১ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ৪ নম্বর ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রস্তুত রয়েছে। লেকে পানি আরো বৃদ্ধি পেলে এবং জাতীয় গ্রীডের চাহিদা থাকলে ৪ নম্বর ইউনিটটিও বিদ্যুৎ উৎপাদনে চালু করা হবে।
তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, বর্তামানে শ্রাবণ মাস চললেও আশানুরুপ বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এই সময় আরো ভারি বৃষ্টি হওয়ার কথা। অন্যান্য বছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকের পানি বিপদসীমার উপরে উঠে যেত। তখন কাপ্তাই বাঁধ রক্ষায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি স্পিল খুলে দিয়ে অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হতো কিন্তু এবার সেই রকম কোনো পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কাপ্তাই লেকে ১০৯ ফুট এমএসএল পানি ধারণ ক্ষমতা থাকলেও রুলকার্ভ অনুযায়ী লেকে বর্তমানে ১৮ ফুট পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
