চলছে চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণ

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ১০ জুলাই, ২০২২ at ৭:১০ অপরাহ্ণ

কোরবানি শেষে বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন মৌসুমি ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পরে তারা এসব চামড়া আড়তদারদের কাছে বিক্রি করবেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী চামড়া সংরক্ষণ করে রাখছেন লবণ দিয়ে।

এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রামে গরু, ছাগল, মহিষ মিলিয়ে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এবার কোরবানির দিন মহানগরের বাইরে থেকে আসা কাঁচা চামড়া কিনছে না। আড়তদাররা উপজেলার মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং মাদরাসা-এতিমখানা কর্তৃপক্ষের নিজ উদ্যোগে কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে কেনার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে, কোরবানির পর দুপুর থেকে নগরীর মুরাদপুর, বিবিরহাট, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি সংগ্রহকারীরা। বিভিন্ন সড়কে জমছে কাঁচা চামড়ার স্তূপ।

লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায়। ছবি: আজাদী

প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা। বকরির চামড়ার দর ১২ থেকে ১৪ টাকা।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, “কিছু চামড়া এসেছে। সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। প্রথম দিন শুধু শহরের ভেতরে যেসব পশু কোরবানি হয়েছে সেগুলোর চামড়া আমরা কিনব। গরমের কারণে চামড়া ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই লবণ দিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে রাখা জরুরি।”

কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা না গেলে কেউ যাতে যেখানে-সেখানে ফেলে না যায় সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, “কিছু ব্যবসায়ী চামড়া নিয়ে আসার পর বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ফেলে যায়। এমন ঘটনা চোখে পড়লে আমরা ব্যবস্থা নেব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চামড়া বিক্রি করতে হবে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় শনাক্ত কমলেও বেড়েছে হার
পরবর্তী নিবন্ধলিসবনে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত