“মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন তারা পাকিস্তানের এজেন্ট”

রাঙ্গুনিয়ায় কৃষকলীগের সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রমাণ করেছেন তারা পাকিস্তানের এজেন্ট। গত পরশু দিন তিনি বক্তব্য রেখেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। এতে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি এবং তার দল হচ্ছে পাকিস্তানের এজেন্ট।”

তিনি বলেন, “আজকে দেশের কৃষকরা ভালো আছে, দেশের মানুষ ভালো আছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এজন্য আবার অনেকের মন খারাপ। সমগ্র পৃথিবী আজকে বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। এমনকি পাকিস্তানও প্রশংসা করছে কিন্তু এতে অনেকের মন খারাপ। আর সেই মন খারাপের দলের নেতা হচ্ছে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।”

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা অডিটরিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার।

সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব রানার সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন উত্তর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “যেই পাকিস্তান আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, যেই পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের প্রশংসা করেছেন বারংবার। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলছেন বাংলাদেশ আমাদের পেছনে ফেলে বহুদুর এগিয়ে গেছে। পাকিস্তানের টেলিভিশনে আলোচনায় শেখ হাসিনার প্রশংসার ঝড় উঠে।”

তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেবরা আসলে হৃদয়ে পাকিস্তানকেই ধারণ করে, আর তারা হচ্ছে বাংলাদেশে পাকিস্তানের এজেন্ট। দেশকে পাকিস্তানের এজেন্টদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এরা যদি আবার সুযোগ পায় তাহলে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করবে। সুতরাং এদের হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশে পাকিস্তানী এজেন্টদের কোনো জায়গা নেই।”

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “আজকে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষিতে প্রতি অর্থ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় আমাদের সরকার। অথচ বিশ্বব্যাংক আইএমএফ সরকারকে কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কথা চিন্তা করে হাজার হাজার কোটি টাকা কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে চলেছে।”

তিনি বলেন, “সেই কারণেই ছোট্ট দেশ হওয়ার পরও আমরা আজকে খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত অর্থবছরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি কৃষি পণ্য আমরা রপ্তানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য গার্মেন্টস এবং অন্যান্য পণ্যের সাথে কৃষি পণ্যও রপ্তানি হবে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার পর ১৯৮৩ সালে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছিলেন। কৃষক লীগের মাধ্যমে দেশে বৃক্ষরোপণকে আন্দোলনে রূপান্তর করেছেন তিনি।”

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরমান চৌধুরী, জাতীয় পরিষদ সদস্য মোতাহের হোসেন বাবুল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার ও সম্পাদক আয়ুব রানাকে পুনরায় তিন বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোমবাতি জ্বালিয়ে চলে যাওয়ার সময় বিএনপির ওপর হামলা
পরবর্তী নিবন্ধএবার এপিবিএন সদস্যকে কুপিয়ে জখম করলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা