চট্টগ্রামে ঈদ কেনাকাটা, জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিকাশ পেমেন্ট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

পছন্দের জুতা কিনতে চট্টগ্রাম নগরীর সানমার ওশান সিটিতে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক সামিনা চৌধুরী। বাটার শো রুম থেকে এক জোড়া জুতা কিনে তিনি বিল পরিশোধ করেন বিকাশ পেমেন্টে। বিকাশ পেমেন্টে বিল পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে সামিনা চৌধুরী বলেন, বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে ১৫০০ টাকা পেমেন্ট দিলে ২০০ টাকার কুপন পাওয়া যায়। তাই বিকাশ পেমেন্টে বিল পরিশোধ করেছি। বিকাশে পেমেন্ট দেয়ায় ২০০ টাকা লাভ হল।

তিনি আরও বলেন, “শুধু জুতার বিল পরিশোধ নয়, ফুডপান্ডা থেকে খাবার কেনাসহ অন্যান্য কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আমি বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করি। কারণ বিকাশ পেমেন্টে বিল পরিশোধ করলে কেনাকাটায় গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সাশ্রয় হয়।”

শুধু সামিনা চৌধুরী নয়, এবার ঈদের কেনাকাটায় চট্টগ্রামে অনেকেই বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করছেন। অফার থাকায় বিকাশ পেমেন্ট করলে দামে কিছুটা কম পাচ্ছেন। একজন গ্রাহক অফার চলাকালীন নির্দিষ্ট আউটলেট থেকে ন্যূনতম ১,৫০০ টাকার বিকাশ পেমেন্ট করলেই পাচ্ছেন প্রতিবার ২০০ টাকার কুপন। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন অনেকে পছন্দের পোশাক, জুতা বা ইলেকট্রনিক্স পণ্য, খাবারসহ গ্র্ল্লোসারি কেনাকাটা করছেন।

বিকাশ পেমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে জিইসি মোড়স্থ আর্ট ব্র্যান্ডের শো রুমের ব্যবস্থাপক তামিম মাহমুদ বলেন, অধিকাংশ ক্রেতা বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করেন। বিকাশে পেমেন্ট করলে কিছু সাশ্রয় হয়। ১৫০০ টাকার পোশাক ১৩০০ টাকায় কেনা যায়। তাই যাদের বিকাশ আছে, তারা বিকাশে পেমেন্ট করছেন।

একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন একই এলাকার বাটা শো রুমের সেলসম্যান মো. রিপন হোসেন। তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবার অনলাইনে বিল পেমেন্ট বেড়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাই কার্ডে না হয় বিকাশে পেমেন্ট দিচ্ছেন। শতকরা প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি ডিজিটালি বিল পরিশোধ করছেন।

কেবল মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটাই নয় চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইনে কেনাকাটা। ভিড় এড়িয়ে কেনাকাটা সারতে অনেকেই এখন অনলাইন থেকে জামাকাপড়, সাজসজ্জার উপকরণ, ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এমনকি প্রতিদিনের বাজার সদাই, সবই কিনছেন। আর তাঁদের অনলাইন কেনাকাটায় পেমেন্ট ভরসার জায়গা বিকাশ। হালিশহর এলাকার বাসিন্দা সাহেদা আক্তার অনলাইনেই কেনাকাটা সারেন। তিনি বলেন, পণ্য পছন্দ করে বিকাশে পেমেন্ট করে দেই। বাসায় থাকি বা না থাকি পণ্য পৌঁছে যায়। খুচরা টাকা নিয়েও ঝামেলা থাকে না। তাছাড়া চট্টগ্রামে বসেই ঢাকার বিভিন্ন ফ্যাশান হাউস থেকে নিজের পছন্দের জিনিস কেনা অনেক আনন্দের আর ঝামেলাও কম।

বিকাশের তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশজুড়ে পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্চেন্ট এর কাছ থেকে বিকাশ পেমেন্টে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদের কেনাকাটাকে আরো সাশ্রয়ী আর রঙিন করে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবারও অফার নিয়ে এসেছে বিকাশ। এখন কোটি মানুষের কাছে ঈদের কেনাকাটা মানেই বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা। বড় বড় মার্কেটগুলোর পাশাপাশি এখন অলিগলির ছোট মুদি দোকানগুলোতেও বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে, অনলাইন কেনাকাটা তো আছেই। এবারের ঈদ কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্ট করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন পেতে পারেন। আর রমজানের ইফতারসেহরিতে আছে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এই গ্রাহক কেনাকাটা করে এই অফারটি নিতে পারবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
পরবর্তী নিবন্ধভিড় এখন জুয়েলারি প্রসাধনীর দোকানে