কক্সবাজারে হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ জুলাই, ২০২২ at ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার ‘নির্জন রিসোর্ট’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে পিছনে হাত বাঁধা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার(৭ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই নারীর পুরুষ সঙ্গী।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার আনুমানিক বয়স ২৫/২৬ বছরের মতো হবে।

কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুল ইসলাম রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে তারা হোটেল কক্ষ ভাড়া নেয় কিন্তু ওই নারী ও কথিত স্বামীর নাম এবং ঠিকানা নিবন্ধন খাতায় নথিভুক্ত করেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলটিতে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। ওই নারীর দু’হাত পিছনে ওড়না দিয়ে বাঁধা এবং হোটেল কক্ষের খাটে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিনি জানান, ওই নারীর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ জানা যাবে।

রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৩টায় দম্পতি পরিচয়ে তারা রিসোর্টের ৬নং কক্ষ ভাড়া নেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলের নিবন্ধন খাতায় তাদের নাম ও পরিচয় নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি কিন্তু ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে এসে দেখি তাদের কক্ষের দরজার তালা বাইরে থেকে খোলা। পরে দরজা খুলে ওই নারীকে হাত বাঁধা অবস্থায় খাটে নিশ্চল পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে অবহিত করি।”

তার দাবি, মেয়েটিকে খুন করে পালিয়ে গেছে ছেলেটি। তার ধারণা ছেলেটির বয়স ২৫ বছর এবং মেয়েটির বয়স আনুমানিক ২২ বছর।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, নিহতের পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

‘নির্জন রিসোর্ট’ নামের ওই কটেজে মাসিক ভাড়া থাকেন রোকসানা আক্তার (২৬) নামের এক নারী। তিনি দাবি করেন, “নিহত ওই মেয়ের নাম মীম। সে (মীম) সমুদ্রসৈকত ও কটেজজোন এলাকায় যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করত। ওইদিন রাত ৩টার দিকে কটেজের বাইরে মীম ও তার সঙ্গী প্রচণ্ড ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে নিজেরা হাতাহাতিতেও জড়িয়ে যায়। পরে তারা ‘নির্জন রিসোর্টে’ ঢুকে পড়ে।”

শাহানা আক্তার নামের আরেকজন নারী জানান, মীমের সাথে যে ছেলেটি ছিল তার নাম মোবারক। মোবারকের বাড়ি শহরের পাহাড়তলী এলাকায়। মেয়েটির বাড়িও মোবারকের বাড়ির পাশে।

তিনি আরো জানান, মোবারক কটেজজোন এলাকায় ছিনতাই ও খুচরা ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিয়ে শেষ করতে হবে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যাকাণ্ডে ৪ আসামীর ৪ দিন করে রিমান্ড