অপহরণের চার দিন পর বালিচাপা দেয়া শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৪ মে, ২০২৩ at ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

অপহরণের চার দিন পর গতকাল বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বালি ও ইটচাপা দিয়ে পুঁতে রাখা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম।

চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা এলাকায় এগারো বছর বয়সী ঐ শিশুকে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

শিশুটির নাম মো. শফিউল ইসলাম রহিম। সে পশ্চিম মোহরার গোলোপের দোকান চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ি এলাকা মো. সেলিম উদ্দিনের ছেলে এবং মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকাল থেকে রহিমের খোঁজ মিলছিল না। পরে তার বাবা সেলিম উদ্দিন থানায় জিডি করেন। ওই দিনই সেলিমকে একজন ফোন করে তার ছেলেকে অপহরণের কথা জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

ওই ঘটনায় তদন্তে নেমে স্থানীয় সিসিটিভি ভিডিওতে আজম খান (৩২) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে রহিমকে দেখতে পায় পুলিশ। এরপর হালিশহর থেকে বুধবার আজমকে গ্রেফতার করলে তিনি শিশুটিকে হত্যার কথা জানান। পরে তার দেওয়া তথ্যে পশ্চিম মোহরার স্থানীয় তৌসিফের নির্মাণাধীন কলোনি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আজম শিশুটির প্রতিবেশী। তাকে গ্রেফতারেরপর মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। হৃদয় পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে।

ওসি খাইরুল বলেন, “পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজম খান শিশু রহিমকে হত্যার কথা জানায়। যেদিন রহিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেদিন ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায় রহিমের বাবার কাছে। ফোন করেছিল হৃদয় কিন্তু অপহরণের ঘটনা জানাজানি হয়ে যাবে ভেবে আজম শিশুটিকে ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। তারপর গর্ত করে বালি ও ইট চাপা দিয়ে মরদেহ পুঁতে রাখা হয়।”

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্রান্সে পজিটিভ বাংলাদেশ শীর্ষক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানে গুলিতে সাত শিক্ষকসহ নিহত ৮