বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরাই নিরীহ ব্যক্তিকে গুলিতে হত্যা করেছে

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে দাবি

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৮:০০ অপরাহ্ণ

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে গত ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘাত-সহিংসতার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা কোনো সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো অস্ত্রবাজি করা হয়নি। জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাই ওইদিন প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয় পৌরশহরের মহাসড়কে। কিন্তু তার আগেই মহাসড়ক থেকে আধ কিলোমিটার দূরে বায়তুশ শরফ সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ফোরকানুল ইসলাম নামের একজন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা।

সেই হত্যাকাণ্ডকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে শান্ত চকরিয়াকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে পৌরশহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেটস্থ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুরোনো একটি ছবিকে এডিট করে ঘটনার পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতেরই একটি মিডিয়া সেল এমনকি কিছু প্রচার মাধ্যমে সেই ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে এবং অস্ত্র তাক করা ব্যক্তিটি পৌর যুবলীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে অথচ ওই ব্যক্তি কোনোভাবেই বেলাল উদ্দিন নন। এই অবস্থায় বেলাল উদ্দিন নিজে এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনহানির শঙ্কা দেখা দিয়ে দিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে পুরো চকরিয়ায় নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে খবর পান সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নৈরাজ্য শুরু করেছে। তখনই মূলত ফোরকানুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন বলেন, “ওইদিন আমি পৌরশহরের চিরিঙ্গার শান্তি মিছিলেও উপস্থিত ছিলাম না। মূলত সকাল থেকেই হলুদ পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা পরে আমি ছিলাম চিরিঙ্গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের গ্রীণ ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে যেখানে শোক দিবস উপলক্ষে গণভোজের আয়োজন চলছিল। এরপর থেকে একই পোশাকে আমি বিভিন্ন স্থানে যাই। যেসব জায়গায় আমি গিয়েছি, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে অথচ আমাকে অস্ত্রবাজ আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় আমি এবং পরিবার সদস্যরা জীবনহানির শঙ্কায় রয়েছি। আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগামী বছর এসএসসি-এইচএসসি আগের সময়ে নেয়ার আশা
পরবর্তী নিবন্ধওমানে ভবন থেকে পড়ে রাঙ্গুনিয়ার প্রবাসীর মৃত্যু