দেশী-বিদেশী নানা জাতের ষাঁড় নিয়ে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে হয়ে গেল দ্বিতীয় ক্যাটল এক্সপো।
চট্টগ্রাম ক্যাটল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে শান্ত, দুষ্টু দুই ধরনের ষাঁড়ের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো মুগ্ধ করেছে ছোট ছোট শিশু সহ আগত সকল দর্শনার্থীকে।
মেলায় বেশিরভাগ বড় গরুই ছিল ব্রাহমা, শাহীওয়াল, নেপালি জাতের। ছিল রেড কাউ বা রেড চিটাগাং ক্যাটেল (আরসিসি), ভুটানের ছোট জাতের ভুট্টিও। খামারিরা একেকটি গরুর নাম রেখেছেন জনপ্রিয় তারকাদের নামে। নতুন খামারিরা গরুর বিভিন্ন জাত, লালন-পালন, খাবার, ওষুধপত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একটি স্টলে ছিল উন্নতজাতের গাভি ও বাছুর।
এবারের প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে ৩৮টি অ্যাগ্রো ফার্মের সেরা গরু।
উদ্যোক্তারা জানান, নিকট অতীতে কোরবানির সময় ভারত থেকে বৈধ ও অবৈধভাবে পশু আসতো। এতে বৈদেশিক মুদ্রা ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার হতো। আনন্দের বিষয় যে শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা খামারি খাতে সম্পৃক্ত হওয়ায় প্রাণিজ আমিষ জোগানে দেশ অনেকখানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত তরুণ আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের এই খাতে নিবেদিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে প্রাণিত করেছেন।
সকালে উদ্বোধন পর্বে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. এএসএম লুৎফুল এহসান।
বিকেলের অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। উদ্বোধন করেন চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদী’র পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দোলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক উপাদানে গরু মোটাতাজাকরণ যথেষ্ট খাদ্যবান্ধব এবং পুষ্টিতে ভরপুর। এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো সামষ্টিক প্রণোদনায় উদ্যোক্তাদের প্রাণিত করা এবং প্রাকৃতিক উপাদানে মোটাতাজাকরণ এবং মাংসজাত প্রাণীর লালন পালনকে সাধারণের মধ্যেই জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা। গরু পালনে বেকাররা এগিয়ে এলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে মাংস রফতানি করতে সক্ষম হবে।