নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

সাফ ফাইনাল

আজাদী অনলাইন | সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:২৭ অপরাহ্ণ

শামসুন্নাহার জুনিয়র ও কৃষ্ণার গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

খেলার ৪১তম মিনিটে গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার। মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে গেল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন দশরথের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বলার অপেক্ষা রাখে না, নেপালি সমর্থকদের আধিপত্য ছিল। নেপালে থাকা ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশীরা সংখ্যায় অল্প হলেও এসেছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণাদের জন্য গলা ফাটাতে।

ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে ভারি বৃষ্টিতে মাঠ হয়ে যায় কর্দমাক্ত, ভারি। ফলে দুই দলেরই সমস্যা হচ্ছে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে।

প্রথম মিনিটে মারিয়ার বক্সের বাইরে থেকে দুরপাল্লার শট গোলরক্ষক আটকালেও পুরোপুরি গ্লাভসে জমাতে পারেননি। আলগা বলে স্বপ্নার শটেও কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আঞ্জিলা থুম্বাপো সুব্বো। এরপরই পাল্টা আক্রমণে ওঠা নেপালের প্রচেষ্টা অনেকটা লাফিয়ে গ্লাভসে নেন রুপনা চাকমা।

নবম মিনিটে শরীর ঘুরিয়ে মারিয়ার জোরালো ক্রসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান কৃষ্ণা; ভারত ম্যাচে এক গোল করা এই ফরোয়ার্ডের শট সরাসরি যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।

ডান পায়ের চোট থাকায় সিরাত জাহান স্বপ্নার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু দশম মিনিটে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন স্বপ্না; বদলি নামেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

চতুর্দশ মিনিটে দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে ডানা মেলে বাংলাদেশ। সানজিদা খাতুনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে পেয়ে যান মনিকা। একজনকে কাটিয়ে বাইলাইনের একটু উপর থেকে তিনি ক্রস বাড়ালেন বক্সে, শামসুন্নাহারের দুরন্ত ফ্লিকে জাল খুঁজে পায়। টুর্নামেন্টে নেপালের জালে এটাই প্রথম গোল।

একটু পর মারিয়ার কোনাকুনি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।

গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। মাঝমাঠে মারিয়া-মনিকার নিয়ন্ত্রণে একটু টান পড়ে; ফলে বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু পোস্টের নিচে রুপনা ছিলেন দারুণ ক্ষিপ্র, বিশ্বস্ত। ২৩তম মিনিটে অনিতার শট প্রথম দফায় আটকে দ্বিতীয় দফায় গ্লাভসে নেন তিনি।

এর মধ্যেও সুযোগ পেলেই বক্সের বাইরে থেকে চেষ্টা করছিলেন মারিয়া। ২৭তম মিনিটে এই মিডফিল্ডারের একই চেষ্টা আটকান সুব্বো। এরপর অনিতা কেসির শট প্রতিহত করেন রুপনা।

৩৪তম মিনিটে আবারও রুপনার ঝলক। বক্সের বাইরে অনিতার ছোট ফ্রি কিকে দিপা সাশির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। এই কর্নার থেকে ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ। গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা।

৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের ভুলে বল পেয়ে অধিনায়ক সাবিনা পাস বাড়ান কৃষ্ণার উদ্দেশে। প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একটু এগিয়ে বাঁ পায়েসর নিখুঁত শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়েলিংটন আর্চে রানির শবমিছিল
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ব্যতিক্রমী আয়োজন