বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান যোগ দিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে। গতকাল শনিবার সকালে মগবাজারে জামায়াত কার্যালয়ে দলের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি ফুল দিয়ে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
জামায়াতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সাক্ষাতে আখতারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলটির অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি জামায়াতের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। আখতারুজ্জামান তার বাকি জীবন ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষায় কাটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াতের নিয়ম–নীতি, আদর্শ ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আখতারুজ্জামান জামায়াতে যোগদানের পর জামায়াতের আমির তার সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তার দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন। এসময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
আখতারুজ্জামান বিএনপি থেকে কিশোরগঞ্জ–২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা স্থানীয়ভাবে মেজর রঞ্জন নামে পরিচিত। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার কারণে তাকে তিন দফা বহিষ্কার করেছিল বিএনপি।
জামায়াতে যোগ দিয়েই দলটিকে দেশপ্রেমিক বলে বর্ণনা করলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, বিএনপির কথার ঠিক নেই। উনি (তারেক রহমান) বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। কথাটা সঠিক নয়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আপনি একের পর এক মিথ্যা বলে যাবেন। এর প্রতিবাদে আমি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। কারণ জামায়াত তো দেশদ্রোহী কোনো দল নয়; জামায়াতে ইসলামী একটি দেশপ্রেমিক দল। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে এবং তাদের যে গঠনতন্ত্র আছে, সেখানেও এটা স্পষ্টভাবে লেখা আছে।
