বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে পরীক্ষার আয়োজন করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রায় দেন। খবর বাসসের।
গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এক স্মারকে জানায়, কেবল সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন চলতি বছর রিট আবেদন করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে স্মারকে উল্লেখ করা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়, শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি সংক্রান্ত ওই স্মারক কেন আইনবহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না এবং ২০০৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না।












