কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ চলাকালে একটি ট্রেন আটকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অবরোধকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে ট্রেনের কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান রেলওয়ে থানার ওসি সাইদ আহমেদ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে আলোচনা ও সমালোচলার সৃষ্টি হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। খবর বিডিনিউজের। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভৈরব রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ‘ভৈরবের সর্বস্তরের জনতা’ ব্যানারে স্থানীয় লোকজন। এ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারীরা লাল কাপড় টানিয়ে ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিনের ওপর উঠে স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে ট্রেনের ইঞ্জিন ও কয়েকটি বগি লক্ষ করে ব্যাপক পাথর ও ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করেন আন্দোলনকারীরা। ওসি সাইদ আহমেদ বলেন, অবরোধ কর্মসূচির কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’, সিলেট থেকে ঢাকাগামী ‘কালনী এক্সপ্রেস’, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী ‘তিতাস কমিউটার ট্রেন’ ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে।
দুই ঘণ্টা অবরোধ শেষে আজ মঙ্গলবার নৌ–পথ ‘ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। সরকার দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ওসি সাইদ আহমেদ বলেন, হামলার এক পর্যায়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। পাথর নিক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।











