চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পাঠান মো. সাইদুজ্জামান বলেছেন, প্রত্যেকটি কাজে ছেলে শিশুর মতো কন্যা শিশুরও সমান অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। আজকের কন্যা শিশুরাই আগামী দিনের মা। তাদের প্রত্যেকের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যান্য শিশুর মত কন্যা শিশুদেরকেও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রত্যেক শিশু ও অভিভাবককে সচেতন থাকতে হবে। কন্যা শিশুদেরকে সুস্থ থাকতে হলে স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন বোধে ওয়াশ রুম বা বাথরুম ব্যবহার করতে হবে। স্কুলের বাথরুমে নয়, বাসায় গিয়ে ওয়াশ রুমে যাবো কথাটি শিশুদেরকে পরিহার করতে হবে। তিনি গতকাল বুধবার জেলা শিশু একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘আমি কন্যা শিশু–স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যানে কাজ করি’। জেলা প্রশাসন ও এনজিও সমূহের সহযোগিতায় এবং কারিতাস–চট্টগ্রাম অঞ্চলের লাইটি প্রকল্পের সৌজন্যে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি বলেন, আজকের কন্যা শিশুরা সর্বত্র নিরাপদ থাকবে,এটাই আমাদের প্রত্যাশা। নারী–পুরুষ বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। নারী ও শিশুর প্রতি যেন কোন ধরণের অন্যায়–অবিচার না হয় সে বিষয়টি সবসময় বিবেচনায় রাখতে হবে। উন্নত দেশ গড়ার কল্যাণে শিশুদেরকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। ঘরে বসে না থেকে তারা স্বপ্ন ও টার্গেট নিয়ে কাজ করলে দেশের উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যাবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রধান অন্তরায়। বাল্যবিবাহের কারণেই কন্যা শিশু তাদের শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পড়ে। বাল্যবিবাহ রোধসহ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কন্যা শিশুর অধিকার ও নিরাপত্তাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
মোবাইলের পরিবর্তে বেশি বেশি করে বই পড়ায় উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাদেরকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক আতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও শিশু একাডেমির আবৃত্তি বিভাগের প্রশিক্ষক অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ্ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্সেল রতন গুদা, জেসমিন সুলতানা পারু, সাদিয়া রহমান, নাসরিন সুলতানা খানম ও এনসিপি সদস্য ফরহাদুল আলম। বক্তব্য রাখেন সৈয়দা শাওরিয়া আফরিন। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটিকা মঞ্চস্থ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
