রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কে বি কনভেনশন হলে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠকের মামলায় সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ ফারজানা হক তা রেকর্ড করেন। এরপর সুমাইয়াকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ভাটারা থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জাকির হোসেন জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
ভাটারা থানার এসআই জ্যোতির্ময় মণ্ডল গত ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এতে সুমাইয়াসহ মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা সংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। দিনভর বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে অংশ নেন তিন থেকে চারশ জন। সেখানে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করা, শাহবাগ মোড় দখল করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিশ্চিত করার মত পরিকল্পনা করা হয় সেখানে।
মেজর সাদিকুল হক নামের এক কর্মকর্তা ওই বৈঠকে ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন– সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আলোচনার বিষয়ে ৩১ জুলাই সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম–উদ–দৌলা বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তারপরেও আমি বলব, যে এরকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে সে সেনাবাহিনী হেফাজতে আছে এবং তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে এর বেশি এই মুহূর্তে বলা আমার মনে হয় সমীচীন হবে না।
এ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় সুমাইয়াকে। পরদিন তার পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।