আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিগগিরই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা পরবর্তী সময়ে মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭০০ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে। খবর বাসসের।
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জাতি হিসেবে আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। আগে সমাজে কোনো খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ত সেটা প্রতিহত করার জন্য। কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে। অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সবসময় সব জায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না। সে সময় উপস্থিত জনতারই প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা উচিত। গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিউ মার্কেট থেকে ১১০০ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এসব অস্ত্র যারা তৈরি করেন তাদেরকে আরো সতর্ক হতে হবে। তারা জানে কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হবে কিনা–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারব। উপদেষ্টা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানান।