নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার হিলভিউ এলাকা থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়েজিদ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার দুই সহযোগী সুমন খান (৩৮) ও মো. জনিকে (৩১) গ্রেপ্তার করা হয়।
বার্মা সবুজের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও অস্ত্র আইনে মোট ৩৫টি মামলা রয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বার্মা সবুজ দীর্ঘদিন ধরে বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, খুলশীসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদা আদায়, জমি দখল এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আধিপত্য বিস্তার করত। বার্মা সবুজকে এর আগেও গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাটহাজারীর কুয়াইশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় তিনি কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান এবং আবারও অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়েন।
সিএমপির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার রাত ১০টার সময় মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজের নেতৃত্বে অপর সহযোগী আসামী সুমন খান ও মো. জনিসহ অজ্ঞাতনামা ১২–১৩ জন বায়েজিদ এলাকায় মোহাম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির বাসায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এরপর ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বার্মা সবুজ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে বাদীর উক্ত বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়াসহ বাদীকে হত্যার হুমকি ধমকি প্রদান করে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ২৭ জুন রাতে বার্মা সবুজের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল বায়েজিদ এলাকার মো. ইউসুফের বাসায় হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি ছড়ায় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা হলে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।