বান্দরবানে ভারত–মিয়ানমার সীমান্তবর্তী চুংচুং পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার বম স্যোশাল কাউন্সিল ও নিরাপত্তা বাহিনীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার, বম স্যোশাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বম জনগোষ্ঠীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, জেলার রুমা–রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট–কেএনএফ’র কারণে ভারতের মিজোরামসহ অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া বম জনগোষ্ঠীর অনেকেই নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন। এছাড়া কেএনএফের দুই সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা হলেন রোয়াললিং বম ও লালপেক লিয়ান বম। আত্মসমর্পণকারীদের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
বম স্যোশাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার লম বম বলেন, পাহাড়ে অস্থিরতায় দুর্গম এলাকার অনেকগুলো পাড়াগ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। সন্ত্রাসী তৎপরতায় এবং যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আতঙ্কিত হয়ে লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তারা পুনরায় গ্রামে ফিরে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত বম জনগোষ্ঠীদের সেনাবাহিনী ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।
রেমাক্রি প্রাংশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, আতঙ্কিত হয়ে যারা এখনো ঘরবাড়ি ছেড়ে বাহিরে রয়েছে, তাদেরকে নিজ গ্রামে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীও সহায়তা করছে।
সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আতিকুর করিম বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে এবং আত্মসমর্পণকারীদের সহায়তা করা হচ্ছে।
যৌথ বাহিনী জানায়, সামপ্রতিক সময়ে পাহাড়ে কেএনএফ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বম জনগোষ্ঠীর ৮৯টি পরিবারের তিন শতাধিকের মত লোকজন তাদের গ্রামে ফিরে এসেছে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া