শিক্ষার্থীদের কারণে কথা বলার সুযোগ হয়েছে

রাঙ্গুনিয়ায় হুম্মাম কাদের

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৪ জুন, ২০২৫ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে কথা বলছি, এই সুযোগটা পেয়েছি, সেটা শিক্ষার্থীদের কারণেই। কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এসব রাজনীতিবিদরা করেননি, করেছে ছাত্ররাই। পরবর্তীতে হয়ত এমন কোনো সময় আসতে পারে, তখন আমরা হয়তো পুরোপুরি ছাত্রদের উপর নির্ভর থাকবো। কারণ সামনের আন্দোলন আপনারাই করবেন। রাজনীতিবিদরা বড় বড় বক্তব্য দেয়, ডিরেকশন দেয়, কিন্তু কাজ যেটা করতে হয়, সেটা শিক্ষার্থীরাই করেন। গতকাল সোমবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগররাণীরহাট ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে একইদিন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কে কে এম রফিক বিন চৌধুরীর স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

স্মরণসভায় হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, বাবাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন অনেক একা হয়ে যায়। মাথার উপর ছাদ সরে যায়, মুরব্বি ছিলো না, তখন প্রাণপ্রিয় চাচা কে কে এম.রফিক বিন চৌধুরী আমাকে হাত ধরে ধরে রাজনীতি শিখিয়েছিলেন। কারাগারে আব্বার কাছ থেকে পরামর্শ নিতাম, বাইরে রফিক বিন চৌধুরী আমাকে উনার আশেপাশে এবং আব্বার পুরাতন মানুষ যারা ছিলেন তাদের সবার সাথে এক এক করে পরিচয় করিয়ে দিতেন। বাবাকে হারিয়ে উনার উপরই অনেকটা নির্ভর ছিলাম। রফিকাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাড. কে আর এম খাইরুদ্দীন মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইউছুফ মিয়া চৌধুরী।

বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, অ্যাড. এস ইউ এম নুরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক ইউনুস মিয়া, ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, আব্দুল মান্নান রণি, অ্যাড. আরিফুল ইসলাম, সাহেদ কামাল তালুকদার, রেজাউল করিম সওদাগর, নাছির উদ্দীন নসু, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, সাংবাদিক মোহাম্মদ ইলিয়াস তালুকদার ও নুরুল আবছার চৌধুরী, ইসমাঈল সিকদার, আবু বক্কর তালুকদার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কে আর এম সরফুদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের লাইব্রেরি বিষয়ক কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে উদ্ধারের দেড় মাস পর বনে উড়ল জোড়া টিয়া