বিজিবির পৃথক অভিযানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৪ হাজার ইয়াবাসহ ৩ জন রোহিঙ্গা‘কে আটক করা হয়েছে। আটকৃতরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান (২৩), মো. হাকিম (১৮) এবং মো. শফি আলম (৩০)। আটকৃতরা উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফডিএমএন ক্যাম্প–১ এর ব্লক–ডির বাসিন্দা। গতকাল সোমবার এই ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেম্বুছড়ি সীমান্তবর্তী লেমুতলী পাহাড়ি জঙ্গলাকীর্ণ চেয়ারম্যান ভাঙ্গা নামক স্থানে শাহীন ডাকাতের আস্তানায় অভিযান চালায় বিজিবি ১১ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা। এসময় আস্তানা থেকে ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৩টি শর্টগান অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম কফিল উদ্দিন কায়েস জানান, সীমান্ত সুরক্ষা ও সীমান্তে সন্ত্রাস চোরাচালান বন্ধে বিজিবির অভিযান চলমান রয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্রগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি–ঈদগড়ের ত্রাস ডাকাত শাহীন গ্রুপের।
অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার
ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুপাড়া বিওপি’র একটি বিশেষ দল সীমান্ত সড়কে অবস্থান নেন। এসময় ব্যাগ কাঁধে নিয়ে আসার পথে ৩ জন রোহিঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা পালানোর চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করে। এসময় এদের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩৪ হাজার পিস ইয়াবা এবং দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আলম জানান, বিজিবি অভিযানে ইয়াবাসহ ৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বিজিবির নিয়মিত তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারির কারণে সীমান্ত পথে ইয়াবা চোরাচালান অনেকটাই কমে এসেছে।