পুলিশের হাতে বড় মারণাস্ত্র থাকবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

| রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

পুলিশের হাতে আর ভারী মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মারণাস্ত্র মানে বড় ধরনের হাতিয়ারগুলো থাকবে না। আপনারা জানেন এপিবিএনের রোল, আর অন্যান্য পুলিশের রোল কিন্তু এক না। একেকটা ইউনিট একেক রোলের জন্য তৈরি হয়েছে। আমাদের যদি কখনো যুদ্ধ করতে হয় তাহলে এরা (এপিবিএন) কিন্তু সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধ করবে। অন্যরাও যুদ্ধ করবে, কিন্তু এপিবিএন ফ্রন্টে থাকবে। এজন্য তাদের হাতিয়ার অন্যান্য ইউনিটের চেয়ে ভিন্ন। যেমন ধরেন যেনৌপুলিশের বেশি দরকার জলযান। আবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রয়োজন অন্য রকম সরঞ্জামের। গতকাল শনিবার রাজধানীর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং র‌্যাব১ এর কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের। এর আগে গত ১২ মে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে পুলিশের হাতে যেন আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে, এগুলো তাদের জমা দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে। এ বিষয়ে শনিবার সাংবাদিকরা ফের জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকাল তো চাকু, পেন্সিলও মারণাস্ত্র। তাহলে পুলিশের কাছে মারণাস্ত্র থাকবে না বলতে আপনি আসলে কী বুঝিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মারণাস্ত্র বলতে বুঝিয়েছি বড় ধরনের অস্ত্র থাকবে না। রাইফেল তো থাকবেই। এখন চাকুও তো একটা মারণাস্ত্র। ওটা দিয়েও তো মানুষ মেরে ফেলা যায়। বিগত ১০ মাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এইবার ঈদে কিন্তু খারাপ কোনো কিছু আপনারা রিপোর্ট করতে পারেননি। এতে বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলার অনেক উন্নতি হয়েছে। ছোটখাট দুয়েকটা ঘটনা যে ঘটেনি তা না। দুএকটি চুরিছিনতাই হয়েছে। বাট বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। আপনারা দোয়া করবেন বড় ধরনের যেন কিছু না হয়। শনিবার সকালেই উত্তরায় এক কোটি টাকা ছিনতাই হয়েছে র‌্যাবের পোশাক পরে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি যদি র‌্যাবের হন, সেও ছাড়া পাবে না। অনেক সময় র‌্যাবপুলিশের পোশাক পরে অনেকে অনেক অপকর্ম করছে; তারাও পার পাবে না। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল ৪ মাসে সাড়ে তিনশ’র বেশি মানুষ খুন হয়েছে। হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা তো ঘটতেছে। এটাকে কীভাবে কমায়ে আনা যায়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। আপনারা লোকজনকে সচেতন করতে পারেন। এবং আপনারা যদি পজিটিভ নিউজ করতে পারেন, এটা হয়ে যাবে। আপনারা দুটো জিনিস করতে পারেনদুর্নীতি কীভাবে কমায় আনা যায় এবং মাদক কীভাবে কমানো যায়। আমি বা আমার আইজি সাহেবের যদি কোনো দুর্নীতি পান, আপানারা লিখেন। সীমান্তে ভারতের পুশ ইন নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ফরেন মিনিস্ট্রিতে জানিয়েছি। ভারতের যে হাই কমিশনার আছে, তিনি আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমরা বলেছি, আমাদের নাগরিক যদি অন্য দেশে থাকেতাহলে তাদের আমরা অবশ্যই নেব; তবে একটা প্রপার চ্যানেলে আসতে হবে। জঙ্গলের ভেতরে ফেলে দেওয়া, কোনো একটা লেকের ওপর ফেলে দেওয়া, নদীর ওপর ফেলে দেওয়াএসব কিন্তু খুবই অমানবিক কাজ হচ্ছে। আমরা স্ট্রং প্রটেস্ট করেছি। আর ওনাদের কোনো নাগরিক থাকলে আমরা প্রপার চ্যানেলে পাঠাই। এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, র‌্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসহস্রধারায় গোসল করতে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কের দুরবস্থা, ভোগান্তি